opadan-karok

অপাদান কারক কাকে বলে? অপাদান কারক কত প্রকার ও কি কি?

আমাদের WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে বাংলা ব্যাকরণের অন্তর্ভুক্ত কারক থেকে অপাদান কারক কাকে বলে? অপাদান কারক কত প্রকার ও কি কি? এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের আলোচনাগুলি প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই অপাদান কারক ও তার শ্রেণিবিভাগ থেকে প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি করে তাদের মাধ্যমিক বাংলা পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে সক্ষম হবে।

অপাদান কারক কাকে বলে? অপাদান কারক কত প্রকার ও কি কি? : 

 

অপাদান কারকঃ 

যার থেকে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর বিচ্যুতি, উৎপন্ন হওয়া, স্খলন, নির্গমন, পতন, নিঃসরণ, গ্রহণ, অপসারণ ইত্যাদি বোঝায় তাকে অপাদান পদ বলে। আর এই অপাদান পদের সাথে ক্রিয়ার সম্পর্ককেই অপাদান কারক বলা হয়ে থাকে।

যেমনঃ

গাছ থেকে আম পড়ে।

 

অপদাদান কারকের শ্রেণিবিভাগঃ

নিম্নে বিবিধ প্রকার অপাদান কারকের শ্রেণিবিভাগ আলোচনা করা হল –

 

স্থানবাচক অপাদানঃ

যখন কর্তা কোনো স্থান বা আধার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে কর্ম সম্পাদন করে, তখন যে স্থান থেকে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে সেই স্থানকে স্থানবাচক অপাদান বলা হয়।

যেমনঃ

গাছ থেকে পাতা পড়ে।

টাকাটা পকেট থেকে পড়ে গেছে।

শহর থেকে গায়ক এসেছে।

 

কালবাচক অপাদানঃ 

অপাদান বাচক পদটি যখন কোনো সময় বা কালকে নির্দেশ করে তখন তাকে কালবাচক অপাদান বলে।

যেমনঃ

সন্ধ্যা থেকে গান হচ্ছে।

সকাল থেকে রিয়া পড়ছে।

মাসের প্রথম দিন থেকে হিসাব চলছে।

 

অবস্থানবাচক অপাদানঃ 

কর্তা যখন কোনো স্থানে অবস্থান করে কর্ম সম্পাদন করে তখন সেই অপাদান পদটিকে অবস্থানবাচক অপাদান বলে।

যেমনঃ

বিদেশ থেকে ঘুরে এলে কার না ভালো লাগে।

পাহার থেকে নদী নেমে এসেছে।

দূর্গ থেকে নজর রেখেছে।

 

তারতম্যবাচক অপাদানঃ 

দুই বা ততোধিক ব্যক্তি বা বস্তুর মধ্যে তুলনা বোঝাতে বাক্যে যে অপাদান পদ ব্যবহৃত হয়, তাকে তারতম্যবাচক অপাদান বলে।

যেমনঃ

স্বর্গের চেয়ে জন্মভূমির গৌরব বেশি।

তোমার থেকে আমি বড়ো।

প্রাণের থেকে প্রিয় আর কিছু আছে কি?

 

দূরত্ববাচক অপাদানঃ 

দূরত্ব বোঝাতে যে অপাদান কারক ব্যবহৃত হয়, তাকে দূরত্ববাচক অপাদান বলা হয়।

যেমনঃ

হলদিবাড়ি থেকে সিকিমের পথ ভালো নয়।

রমেনের বাড়ি থেকে আমার বাড়ি আসতে দু’ঘন্টা সময় লাগে।

কলকাতা থেকে কলম্বো অনেক দূর।

 

অসমাপিকা ক্রিয়ারূপী অপাদানঃ 

বাক্যে অসমাপিকা ক্রিয়া অপাদানের মতো আচর করলে তাকে অসমাপিকা ক্রিয়ারূপী অপাদান বলে।

যেমনঃ

খেতে বারণ কোরো না।

মরতে আবার ভয় কীসের?

ভুলতে সময় লাগে না।

 

উৎপাদকবাচক অপাদানঃ

একটি বস্তু থেকে অপর একটি বস্তু উৎপন্ন হওয়াকে যে অপাদান কারকে নির্দেশ করা হয়, তাকে উৎপাদকবাচক অপাদান বলে।

যেমনঃ

তিলে তেল হয়।

সাবানে ফ্যানা হয়।

আখে গুড় হয়।

 

ভীতিসূচক অপাদানঃ 

অপাদান পদটি যখন ভীতির উৎসকে নির্দেশ করে তখন তাকে ভীতিসূচক অপাদান বলে।

যেমনঃ

ভুতে আমার ভয় করে।

 

বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ 

অপাদান কারকে শূন্য বিভক্তির প্রয়োগ = বাংলাদেশ ঘুরে এলাম।

অপাদান কারকে অনুসর্গের ব্যবহার = আমরা চোখ দিয়ে দেখি।

 

LINK TO VIEW PDF FILE (ONLY FOR SUBSCRIBERS)

অপাদান কারক কাকে বলে

কারক ও অকারক থেকে সকল প্রকার আলোচনা দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

কারক ও অকারক, বিভক্তি, অনুসর্গ, নির্দেশক

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না

Scroll to Top