class-seven-bengali-letter-writing

সপ্তম শ্রেণির বাংলা পত্ররচনা

সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সপ্তম শ্রেণির বাংলা পত্ররচনা প্রদান করা হলো। আমাদের WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে প্রদান করা এই প্রশ্নের উত্তরগুলি তৈরি করে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। আমাদের নোট বিভাগে সপ্তম শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক সমস্ত প্রশ্নের উত্তর প্রদান করা হয়েছে।

সপ্তম শ্রেণির বাংলা পত্ররচনা : 

 

১) বার্ষিক পরীক্ষার পর প্রিয় বন্ধুকে গ্রামে বেড়াতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে পত্র লেখো।  

মেলারমাঠ, হলদিবাড়ি

০৫.১১.২০২৫

প্রিয় অনন্যা, 

                    অনেক চিন্তা আর না ঘুমিয়ে কাটানো রাতের পর এখন আমরা নিশ্চিন্ত, বল? হস্টেল থেকে ফিরে প্রথম দিকে বাড়িতে বেশ ভালোই লাগছিল। কিন্তু এখন কয়েকজনের জন্য বেশ ফাঁকা লাগে। তুইও তাদের মধ্যে একজন। থাকিস তো কলকাতায়। চলে আয় না আমাদের গ্রামে। ভীষণ ভালো লাগবে। এখান থেকে গঙ্গা দু-মিনিটের হাঁটা পথ। বিকেলে দু-জনে নদীর ধারে বসে গল্প করব, সূর্যাস্ত দেখব। সকালটাও দারুণ লাগবে। ধান ওঠার পর এখন আমাদের গ্রামের ক্ষেতগুলোতে কড়াই চাষ হচ্ছে। সবুজ হয়ে আছে মাঠ। চাষিরা ভোরের দিকে মাঠে কাজ করার সময় কিছু শুকনো ঝোপে আগুন লাগিয়ে কেমন হাত-পা সেঁকে নেয়। দেখাব খেজুর গাছ থেকে কীভাবে রস বার করে শিউলিরা। সেই রস জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি হয়। আর রাতে দেখবি সত্যিই আকাশে তারা ফোটে আর বাঁশঝাড়ে আলো জ্বালে জোনাকির দল। শেয়ালের হুক্কাহুয়া ডাক। এসবই প্রকৃতি তোকে বিনা পয়সায় দেখাবে। চলে আয় নীতা। অপেক্ষা করছি তোর জন্য।

প্রাপক –                                                                                                                                                             ইতি

অনন্যা রায়                                                                                                                                         তোর প্রিয় বন্ধু সম্পা

প্রযত্নেঃ বিমল রায় 

বউবাজার, জলপাইগুড়ি

পিনঃ ৭৩৫১২২

 

২) ২১ ফেব্রুয়ারি তোমার বিদ্যালয়ে যথাযথ মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপিত হবে। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়ে প্রিয় বন্ধুকে একটি চিঠি লেখো। 

মেলারমাঠ, হলদিবাড়ি

০৫.১১.২০২৫

প্রিয় অনন্যা, 

                   আশা করি ভালো আছিস। নতুন ক্লাসে নিশ্চয়ই লেখাপড়া জোরকদমে শুরু হয়ে গেছে। সামনেই ২১ ফেব্রুয়ারি। তুই তো জানিস ১৯৯৯ থেকে ইউনেসকো-র ঘোষণা অনুযায়ী দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। উর্দু-কে একমাত্র রাষ্ট্রভাষা করার সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ১৯৫২ সালের এই দিনটিতে মাতৃভাষার অধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় আব্দুল জব্বার, রফিক উদ্দিন, আবুল বরকত, সালাম, শফিউর রহমান প্রমুখ পুলিশের গুলিতে মৃত্যু বরণ করেন। এই ভাষা-শহিদদের সুমহান আত্মবলিদানের কথা আমরা এই দিনটিতে স্মরণ করে থাকি। প্রতিবছরের মতো এবছরও আমাদের বিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস যথাযোগ্য মর্যাদার সঙ্গে পালিত হবে। ওই দিন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহাশয়, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীদের যৌথ উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আমি কবি শামসুর রাহমানের ‘বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা’ কবিতাটি আবৃত্তি করব।

                  গত বছর ইচ্ছে থাকলেও বাড়িতে অসুবিধা থাকায় তুই আসতে পারিসনি। এবার অনেক আগে থেকে বললাম। অবশ্যই আশা চাই কিন্তু। আশাকরি এই অনুষ্ঠানটি তোর কাছে খুবই মনোজ্ঞ হয়ে উঠবে। ভালো থাকিস।

প্রাপক –                                                                                                                                                             ইতি

অনন্যা রায়                                                                                                                                         তোর প্রিয় বন্ধু সম্পা

প্রযত্নেঃ বিমল রায় 

বউবাজার, জলপাইগুড়ি

পিনঃ ৭৩৫১২২

 

৩) তোমার বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিবরণ জানিয়ে বন্ধুর কাছে একটি চিঠি লেখো। 

মেলারমাঠ, হলদিবাড়ি

০৫.১১.২০২৫

প্রিয় অনন্যা,

              অনেক দিন তোর কোনো খবরাখবর পাই না। বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল জানিয়ে শেষবার যে চিঠি লিখেছিলি, তার উত্তরও তো দিয়েছি মাসখানেক হয়ে গেল। নতুন ক্লাসে ওঠার আনন্দে পুরোনো পাড়ার আর বন্ধুদের কিন্তু ভুলে যাইনি একেবারেই। গত সপ্তাহেই আমাদের স্কুলে ৪৭তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। আমাদের বিভাগের জন্য ছিল ১৫০ মিটার দৌড়, বস্তা দৌড়, অঙ্ক দৌড়, ব্যালান্স রেস, উচ্চ লম্ফন, দীর্ঘ লম্ফন, মিউজিক্যাল চেয়ার প্রভৃতি। দুদিন ধরে আমাদের স্কুলেরই মাঠে মহড়া চলার পর গত শুক্রবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে আরম্ভহয় অন্তিম বা চূড়ান্ত পর্ব। সারাদিন খেলাধুলোর শেষে শিক্ষকদের হাঁটা রেস, দিদিমণিদের প্রদীপ জ্বালানো, সর্বসাধারণের জন্য ধীরে সাইকেল চালানো, প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীদের জন্য যেমন খুশি সাজো প্রভৃতির আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতায় সফলদের হাতে এলাকার বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদেরা পুরস্কার তুলে দেন। আমি অঙ্ক দৌড়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছি।

তোদের স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার কথা লিখে জানাস। আর হ্যাঁ, সরস্বতী পুজোর সময় নিশ্চয়ই দেখা হবে। ভালো থাকিস। কাকু-কাকিমাকে আমার প্রণাম জানাস, ভাইকে আমার স্নেহাশিস দিস। আজ এখানেই শেষ করছি।

প্রাপক –                                                                                                                                                             ইতি

অনন্যা রায়                                                                                                                                         তোর প্রিয় বন্ধু সম্পা

প্রযত্নেঃ বিমল রায় 

বউবাজার, জলপাইগুড়ি

পিনঃ ৭৩৫১২২

 

৪) অতিরিক্ত মাইক ব্যবহারের ফলে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এর প্রতিকার চেয়ে পৌরপিতার কাছে একটি চিঠি লেখো। 

 

মাননীয় পৌরপিতা মহাশয় সমীপেষু,

হলদিবাড়ি পৌরসভা,

হলদিবাড়ি 

 

বিষয়: মাইক ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ প্রার্থনা

মহাশয়,

            আমরা হলদিবাড়ি অঞ্চলের দীর্ঘ দিনের বাসিন্দা। আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, বছর দুয়েক আগে আমাদের অঞ্চলে ‘আনন্দ নিকেতন’ নামে একটি সংঘ স্থাপিত হয়েছে। সুস্থ সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল গড়ে তোলার নামে সেখানে সারাবছরই কোনো না কোনো অনুষ্ঠান চলে। সরকারি বিধিনিষেধ এবং এলাকাবাসীদের স্বাস্থ্য, লেখাপড়া, কাজকর্ম, বিশ্রামকে গুরুত্ব না দিয়ে সেসব অনুষ্ঠানে সকাল থেকে শুরু করে অনেক রাত পর্যন্ত তারস্বরে মাইক বাজানো হয়। এর ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। সংঘ কর্তৃপক্ষের কাছে বারংবার আবেদন ও লিখিত অনুরোধ জানিয়েও কোনো সুরাহা হয়নি, বরং পরিস্থিতি আরো অসহনীয় হয়ে উঠেছে।

             এমতাবস্থায় আমরা আপনার সহৃদয় সহযোগিতা প্রার্থনা করি। আশা করি, আপনি উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের মধ্য দিয়ে আমাদের এই নিদারুণ শব্দযন্ত্রণার কবল থেকে মুক্ত করবেন।

  হলদিবাড়ি                                                                                                                                                     নমস্কারান্তে

৫ই নভেম্বর, ২০২৫                                                                                                                                            বিনীত      

হলদিবাড়ি অঞ্চলের অধিবাসীবৃন্দ

 

৫) অসুস্থতার কারণে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলে। ছুটি মঞ্জুরের আবেদন জানিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি পত্র রচনা করো। 

 

মাননীয়

প্রধান শিক্ষক মহাশয়,

হলদিবাড়ি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়,

হলদিবাড়ি, 

কোচবিহার 

 

বিষয়ঃ অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটি মঞ্জুরের আবেদন

শ্রদ্ধেয় মহাশয়,

                        আমার বিনীত নিবেদন এই যে, আমি শ্রীমান অভ্রজ্যোতি ধর আপনার বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণি ‘ক’ বিভাগের ছাত্র, ক্রমিক নং-১ । প্রবল জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কারণে আমি গত ১লা নভেম্বর থেকে ৪ঠা নভেম্বর পর্যন্ত বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলাম।

                       উক্ত ক’দিনের ছুটি মঞ্জুর করে আমাকে বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস করার অনুমতি দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।

হলদিবাড়ি, ৫.১১.২০২৫                                                                                                                                           

                                                                                                                                                                           ইতি

                                                                                                                                                       আপনার একান্ত অনুগত ছাত্র

                                                                                                                                                                   অভ্রজ্যোতি ধর

নিম্নের PDF LINK -টি শুধুমাত্র আমাদের Subscribers -দের জন্য। সপ্তম শ্রেণির বাংলা বিষয়ের সাবস্ক্রিপশন নিতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথেঃ What’s App: 7001880232 

সপ্তম শ্রেণির বাংলা পত্ররচনা

সপ্তম শ্রেণির বাংলা অধ্যায়ভিত্তিক নোট দেখতে নিম্নের ছবিতে ক্লিক/টাচ করতে হবে 

সপ্তম শ্রেণির বাংলা প্রশ্নের উত্তর

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: কপি করার প্রচেষ্টা করবেন না !
Scroll to Top