মাকু দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন উত্তর । সপ্তম শ্রেণির বাংলা
সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য WBNOTES.IN ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে মাকু দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন উত্তর প্রদান করা হলো। লীলা মজুমদার রচিত মাকু উপন্যাস -এর দ্বিতীয় ইউনিট টেষ্টের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর এখানে প্রদান করা হলো। শিক্ষার্থীরা এই প্রশ্নগুলির উত্তর তৈরি করে তাদের সপ্তম শ্রেণির বাংলা দ্বিতীয় ইউনিট টেষ্ট -এর পরীক্ষা প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে।
মাকু দ্বিতীয় ইউনিট টেস্ট প্রশ্ন উত্তর । সপ্তম শ্রেণির বাংলা :
১) হোটেলওয়ালার চেহারা কেমন?
উঃ হোটেলওয়ালার মুখভরা ঝুলো গোঁফ আর থুতনি ছাই রং-এর দাড়িতে ঢাকা।দেখে মনে হয় যেন ধোপার বাড়ি থেকে ফিরেছে।
২) শোনা ও টিয়ার সাথে যারা হোটেলে খাচ্ছিল তারা কোথাকার লোক?
উঃ যারা হোটেলে খাচ্ছিল তারা সার্কাসের লোক।
৩) রাতে সোনারা কোথায় ঘুমিয়েছিল?
উঃ রাতে সোনারা গাছের কোঠরে ঘুমিয়েছিল।
৪) টিয়া আর সোনার কথা কান্না শুনে কারা এসেছিল?
উঃ কান্না শুনে গাছ বেয়ে মাকু, হোটেলওয়ালা, সং আর সাতজন দড়াবাজির ওস্তাদ এসেছিল।
৫) সোনা ও টিয়া পুতুলদের জন্য কী কী রান্না করেছিল?
উঃ সোনা ও টিয়া পুতুলদের জন্য কাদা দিয়ে ভাত বানায় আর গাঁদা ফুলের পাতা দিয়ে মাছ রান্না করে।
৬) মাকু যাতে রাতে পালাতে না পারে তার জন্য সোনা কী করেছিল?
উঃ সোনা পুঁটলির মুখের বড়ো সেফটিপিন দিয়ে নিজের ফ্রকের সঙ্গে মাকুর জামার কোণটা এঁটে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছিল। যাতে মাকু রাতে পালাতে না পারে।
৭) কে কোথায় খরগোশ ধরবার ফাঁদ পেতেছিল?
উঃ হোটেলওয়ালা বনের মধ্যে বাঁশতলায় খরগোশ ধরবার ফাঁদ পেতেছিল।
৮) খরগোশ দিয়ে কী হবে?
উঃ খরগোশ দিয়ে কালিয়া হবে।
৯) জাদুকরের পোশাক কেমন ছিল?
উঃ জাদুকরের মাথায় লম্বা চোঙার মতো টুপি আর গায়ে ছিল চকরা বরা মাটি অবধি ঢোলা জামা, তার হাতা ঢলঢলে।
১০) বটতলার হোটেলটি কেমন ছিল?
উঃ হোটেলটা ছিল একটি গাছ। গাছের ডাল থেকে কয়েকটা লণ্ঠন ঝুলছে। বটগাছের নীচু নীচু ডালে লোকে পা ঝুলিয়ে বসে আছে। গাছ থেকে রাশি রাশি ঝুরি নেমেছে। গাছের গোড়ায় পাথরের উনুনে গনগনে আগুনের উপর পিতলের হাঁড়িতে রান্না হচ্ছে। গাছের গুঁড়ির উপর কাঠের তক্তা ফেলে খাওয়াদাওয়া চলছে।
১১) সার্কাসের লোকেদের জঙ্গলে থাকতে হয়েছিল কেন?
উঃ সার্কাসের অধিকারীমশাই সার্কাসের জন্য ঝাড়বাতি কিনে, সকলের জন্য নতুন পোশাক বানিয়ে, চারিদিকে নতুন খেলার বিজ্ঞাপন দিয়ে, খেলা শুরু হবার আগেই কোনো জিনিসের দাম না-দিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। অধিকারীমশাই নিখোঁজ, তাই ওদের নামেই পরোয়ানা বেরিয়েছে। তাই সার্কাসের লোকেরা জঙ্গলে থাকে।
১২) হোটেলওয়ালা সোনা ও টিয়াকে কী কাজ করতে এবং কীভাবে করতে বলেছিল?
উঃ হোটেলওয়ালা সোনা ও টিয়াকে খাবার জায়গা করা, বাটি ধুয়ে দেওয়া আর ঝাটপাট দেওয়ার কাজ বলেছিল। আর গাছের ঘরে থাকতে এবং গাছের ধারে ছোটো ঝরনায় চান, কাপড় কাচা ও বাসন ধুতে বলেছিল।এর জন্য কোনো পয়সাকড়ি যে লাগবে না সেটাও সে বলেছিল।
১৩) গাছের উপর ঘরটি কেমন ছিল?
উঃ গাছের গায়ে সিঁড়ির মতো খাঁজ কাটা, আট-দশটি ধাপ উঠতেই ডালপালার মধ্যে কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি একটি সুন্দর ঘর। বাতাস বইলে সেটি দোলনার মতো দোলে। সেখানে শুকনো পাতার উপর নীল রং।
১৪) পরিদের রানির পরনে কী রঙের পোশাক ছিল?
উঃ পরিদের রানির পরনে গোলাপি রঙের পোশাক ছিল।
১৫) সং সপ্তাহে কতবার পোস্ট অফিসে যায় এবং কেন যায়?
উঃ সং সপ্তাহে দু-তিনবার পোস্ট অফিসে যায়। সে খোঁজ নেয় তার কাটা লটারির টিকিটের কোনো খবর এল কিনা।
১৬) হোটেলওয়ালা কী দিয়ে সুরুয়া রান্না করে?
উঃ হোটেলওয়ালা তার দাড়ি-গোঁফ দিয়ে সুরুয়া রান্না করে।
১৭) ক-টি বাঁদর খেলা দেখাতে এসেছিল?
উঃ চারটি বাঁদর খেলা দেখাতে এসেছিল।
১৮) হোটেলওয়ালা কীভাবে দাঁড়িগোঁফ শুকিয়েছিল?
উঃ হোটেলওয়ালা কাঠের হাতা দিয়ে সুরুয়া থেকে দাড়িগোঁফ তুলে বালতির জলে ধুয়ে, গাছের ডালে শুকোতে দিল।
১৯) সং কোন অবস্থায় এসে হাজির হয়েছিল?
উঃ সং-এর চুল খাড়া, ঠিকরে বেরোনো চোখ, জামাকাপড়ে ধুলোবালি ও শুকনো পাতা লাগা এই অবস্থায় সং এসে হাজির হলো।
২০) জঙ্গলে ওরা সে-দিন ক-জন লোককে দেখেছিল?
উঃ জঙ্গলে ওরা সে-দিন দুজন নতুন লোককে দেখেছিল।
২১) পুলিশের ভয়ে সোনা ও টিয়াকে নিয়ে হোটেলওয়ালা কোথায় লুকিয়েছিল?
উঃ পুলিশের ভয়ে সোনা ও টিয়াকে নিয়ে হোটেলওয়ালা গাছ-ঘরে লুকিয়েছিল।
২২) মাঝপথে সোনা ও টিয়ারা কী কাণ্ড দেখল?
উঃ মাঝপথে সোনা ও টিয়ারা দেখলো খাকি কোট-পেন্টেলুন পরা একটা লোক কাঁধে থলে ও কোমরে লণ্ঠন বাঁধা, হাতে একটা লম্বা খাম নিয়ে ঝোপেঝাড়ে কাকে যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে।
২৩) পরির রানিকে দেখতে কেমন ও তার পরনে কী পোশাক ছিল?
উঃ পরির রানির গোলাপি মুখে সুন্দর কালো কালো চোখ। মাথায় সোনালি চুল। আর তার গায়ে রুপোলি রঙের পোশাক।
২৪) হোটেলওয়ালা কীভারে সুরুয়া রান্না করে?
উঃ হোটেলওয়ালা রান্না করার সময় সুরুয়ার মধ্যে তার মুখের দাড়ি-গোঁফ খুলে ফেলে দেয়। সেই সুরুয়াই লোকে স্বর্গের সুরুয়া বলে খায়।
২৫) হোটেলওয়ালার জন্মদিনে রান্নার জন্য কে কী নিয়ে এসেছে?
উঃ হোটেলওয়ালার জন্মদিনে রান্নার জন্য গোয়ালা এক মণ দুধ দিয়ে গেছে, সং পাঁচ সের বাতাসা কিনে এনেছে।
রাতে ভুনিখিচুড়ির জন্য সুগন্ধি চাল, পেস্তা, বাদাম, কিশমিশ এনেছে। আর শিকারীরা হরিণের মাংস দিয়ে যাবে বলে গেছে।
২৬) বটতলার পিছনে ছোটো নদীটির ধারে কী কী শাকসবজি হয়?
উঃ সেখানে ছোটো বুনো মটরশুঁটি, গাছতলায় মিষ্টি শাকালু, পালংশাক, টম্যাটো, ডুমুর গাছে ডুমুর, সজনে গাছে সজনে হয় ।
২৭) হোটেলওয়ালা কী কারণে সুরুয়াতে দাঁড়ি গোঁফ ফেলে দিয়ে রান্না করে?
উঃ আগে হোটেলওয়ালার রান্না সুরুয়া মুখে দিলেই লোকে ওয়াক-থু বলে ফেলে দিত আর পয়সা ফেরত চাইত। তারপর আচমকা একদিন তার দাড়িগোঁফ খুলে সুরুয়ার মধ্যে পড়ে গিয়ে রান্না হয়ে গেল। আর সেদিন সবাই সুরুয়া খেয়ে সুখ্যাতি করতে লাগল। সেই থেকে হোটেলওয়ালা রান্নার সময় দাড়িগোঁফ সুরুয়াতে ফেলে দিয়ে রাঁধে।
২৮) ঘড়িওয়ালা সম্পর্কে হোটেলওয়ালার কে হয়?
উঃ ঘড়িওয়ালা সম্পর্কে হোটেলওয়ালার ভাই হয়।
২৯) হোটেলওয়ালা কী হারিয়ে ফেলেছে?
উঃ হোটেলওয়ালা সং-এর টিকিটের আধখানা হারিয়ে ফেলেছে।
৩০) মাকুকে বানাতে ঘড়িওয়ালার কতদিন সময় লেগেছিল?
উঃ ঘড়িওয়ালা প্রায় সতেরো বছর ধরে মাকুকে বানিয়েছিল।
৩১) পেয়াদা কাদেরকে খুঁজছিল?
উঃ জঙ্গলে যারা থাকে তাদের পেয়াদা খুঁজছিল।
৩২) পেয়াদা সোনাদের ধরতে গিয়ে কোথায় পড়ে গেল?
উঃ পেয়াদা সোনাদের ধরতে গিয়ে ফাঁদপাতা গর্তে পড়ে গেল।
৩৩) গেছো ঘরের দেয়াল ঘেঁসে সোনা টিয়া কাকে দেখেছিল?
উঃ সোনা টিয়া দেখেছিল গেছো ঘরের দেয়াল ঘেঁসে একপাশে কালো চাদর মুড়ি দিয়ে কে যেন শুয়ে আছে।
৩৪) ঘড়িওয়ালার কী ফুরিয়ে গিয়েছিল। তাই সে কী করতে পারবে না?
উঃ ঘড়িওয়ালার পয়সাকড়ি ও বিদ্যাবুদ্ধি ফুরিয়ে গিয়েছিল। তাই মাকুর জন্য কান্নার কল সে তৈরি করতে পারবে না।
৩৫) পেয়াদাকে দেখে সোনা ও টিয়া দৌড় দিল কেন?
উঃ পেয়াদা ঘড়িওলা, মাকু ও সার্কাসের লোকজনদের ধরতে এসেছে ভেবে সোনা-টিয়া দৌড় দিয়েছিল।
৩৬) সোনা কাকে কোথায় ফেলে দেবে বলেছিল?
উঃ সোনা মাকুকে বাঘ ধরার ফাঁদে ফেলে দেবে বলেছিল।
৩৭) ঘড়িওয়ালার মাকুকে বানাবার একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উঃ ঘড়িওয়ালা প্রায় সতেরো বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে মাকুকে বানিয়েছে। বাড়িঘর ছেড়ে সে ঘড়ি কারখানায় পড়ে থাকত। ম্যানেজার তাকে তাদের নীচে শুতে দিত, আর ছাইপাঁশ খেতে দিত। সে রাত জেগে জেগে গুদাম থেকে সব বিলিতি ঘড়ির কলকবজা খুলে নিয়ে মাকুকে বানিয়েছে।
৩৮) জঙ্গলের পাতা ফাঁদগুলি কেমন তার বিবরণ দাও।
উঃ জঙ্গলে ফাঁদ পাতার কয়েকটি পুরোনো গর্ত আছে। সেইগুলি বাঘ ধরার ফাঁদ না শুয়োর ধরার তা বলা যায় না। ফাঁদগুলি বহুদিনের পুরোনো। মাটিতে দু-মানুষ গভীর গর্ত, তার উপরটা লতাপাতাতে ঢেকে গিয়ে বুজে গেছে। কিন্তু তার উপর একবার পা পড়লে লোকজন বা জন্তুজানোয়ার তার ভেতরে গিয়ে পড়বে। তাই সেখানে ফাঁদ পাতা আছে। হোটেলওয়ালা সেখানে একটা বাঁশের খুঁটি পুঁতে রেখেছে যাতে লোকজন দেখতে পেয়ে সাবধান হয়।
৩৯) সোনা কেন বাঁশের খুঁটি উপড়ে দিয়েছিল?
উঃ সোনা এদিক ওদিক দেখে বড়ো ফাঁদের কিনারা থেকে বাঁশের খুঁটি উপড়ে ফেলেছিল। কারণ সে ফাঁদের মধ্যে মাকুকে ফেলে দিতে, যাতে কেউ সোনা টিয়া দেখিয়ে না দিলে মাকুকে কেউ খুঁজে না পায়।
৪০) ঘড়িওয়ালার নামে হুলিয়া বেরিয়েছিল কেন? এর জন্য হোটেলওয়ালা তাকে কী বলেছিল?
উঃ মাকুর শরীরে যে সব বিলিতি কলকব্জা লাগানো তার দাম পাঁচ হাজার টাকা। সেই টাকার জন্য ঘড়িওয়ালার নামে হুলিয়া বেরিয়েছিল।
এর জন্য হোটেলওয়ালা তাকে ভাবনা করতে বারণ করে বলেছিল দু’মাস মাকুর খেলা দেখালে এরকম অনেক পাঁচ হাজার টাকা উঠে আসবে।
৪১) কোন্ বিষাক্ত সাপের কথা সোনা বলেছিল?
উঃ তক্ষক সাপের কথা সোনা বলেছিল।
৪২) কে কাকে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল?
উঃ একটা ছুঁচো একটা ব্যাঙের ঠ্যাং ধরে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছিল।
৪৩) কে কাকে পোকা খাওয়াচ্ছিল?
উঃ ওপরের ডালে বসে মা দাঁড়কাক নীচের ডালে বসা ছানা দাঁড়কাককে পোকা খাওয়াচ্ছিল।
৪৪) খেলা দেখানোর আগে জানোয়ারদের কী খাওয়াতে হয়?
উঃ খেলা দেখানোর আগে জানোয়ারদের ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়াতে হয়।
৪৫) কে সোনাদের নতুন জামা কেনার পয়সা দিয়েছিল?
উঃ মাকু সোনাদের নতুন জামা কেনার পয়সা দিয়েছিল।
৪৬) মেম সোনাদের কী উপহার দিয়েছিল?
উঃ মেম সোনাদের একটা করে রেশমি ফিতে উপহার দিয়েছিল।
৪৭) সার্কাসের দড়িতে কে কী নিয়ে নাচে?
উঃ সার্কাসের দড়িতে কালো মেম ছাতা নিয়ে নাচে।
৪৮) কে সোনা-টিয়ার জুতোয় পালিশ করে দিয়েছিল?
উঃ যে লোকটা ঘোড়ার খুরে পালিশ লাগাচ্ছিল সে সোনা-টিয়ার জুতো পালিশ করে চকচকে করে দিল।
৪৯) কার পোশাক রোদে শুকোচ্ছিল?
উঃ রানির পোশাক রোদে শুকোচ্ছিল।
৫০) জানোয়ারদের ভিটামিনের গুলি খাওয়াতে হয় কেন?
উঃ ভিটামিনের গুলি না-খাওয়ালে জানোয়ারেরা রাতে খেলা দেখাতে পারবে না।
৫১) মেম পার্টিতে কী ড্রেস পড়ে যাবে বলেছিল?
উঃ মেম পার্টিতে সোনালি ঘুণ্টি দেওয়া লাল গাউন পড়ে যাবে বলেছিল।
৫২) সং সোনা-টিয়ার জন্য যে জামা কিনে এনেছিল, তা কেমন ছিল?
উঃ সঙের কেনা জামাটির রং ছিল একটা গোলাপি আর একটা ফিকে বেগুনি। জামাটির তলায় কুচি দেওয়া আর গলায় ছোটো একটা করে রূপালি ফুলের মতো বোতাম দেওয়া।
৫৩) ছুঁচো আর ব্যাঙের ঘটনাটি কী ঘটেছিল?
উঃ সোনা-টিয়া দেখল ছুঁচোর মতো দেখতে একটা প্রাণী একটা ব্যাঙের পা ধরে হিচড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। একটা চিঁচিঁ শব্দ হচ্ছে। টিয়া ছুঁচোটাকে তাড়িয়ে ব্যাংটাকে বাঁচায়।
৫৪) কে ওষুধের কৌটো খুঁজছিল? কীভাবে তা পাওয়া গেল এবং কাদের তা খাওয়ানো হল?
উঃ সং ওষুধের শিশি খুঁজছিল। রুমাল বের করার জন্য সং যেই পকেটে হাত দিয়েছে তখনি পকেট থেকে সে সবুজ রংয়ের কৌটো খুঁজে পেল। ওষুধটি আর কিছুই নয়, সেটি ভিটামিন বড়ি। একটুকরো গুড়ের সঙ্গে একটি করে বড়ি জানোয়ারদের মুখে ফেলে দেওয়া হল। তাই খেয়ে তারা মাথা নাড়িয়ে লেজ দুলিয়ে আহ্লাদ করতে লাগল।
৫৫) সে-দিন সার্কাসের জন্তুদের সাজের বিবরণ দাও।
উঃ জানোয়ারদের পায়ে পালিশ লাগানো হচ্ছে। প্রত্যেকে চান করেছে, গায়ে মাথায় বুরুশ করেছে। তাদের গলার ঘণ্টি আর কলার আজ সব ভালোভাবে পরিষ্কার করে ঝকঝকে করে দেওয়া হয়েছে।
৫৬) পরিদের রানির কী কী সাজ দেখা গিয়েছিল তার বিবরণ দাও।
উঃ তারা দেখল পরিদের রানির পোশাক ঘাসের উপর শুকোতে দেওয়া আছে। সেই পোশাকের সর্বাঙ্গে ছোটো ছোটো রুপালি বুটি। পাশে রুপালি ডানা জোড়াও রয়েছে। তার পাশে কাগজের বাক্সে রানির মাথার তারা দেওয়া মুকুট, হাতের চাঁদ-বসানো রাজদণ্ড, গলার সীতাহার, হাতের তাগা, কানের ঝুমকো রাখা আছে। গয়নার সঙ্গে বসেছে রূপালি পাড় দেওয়া সাদা রেশমি রুমাল।
৫৭) বিকেলে সার্কাসে কী কী খেলা হবে? কোন্ খেলা কেন জমাতে হবে?
উঃ সার্কাসে প্রথমে হবে দড়াবাজির খেলা। তারপর কুকুরদের খেলা শেষে জাদুর খেলা হবে। জাদুকর পরিদের রানিকে নামাবে।
দড়াবাজির খেলা প্রথমেই জমাতে হবে। কারণ দড়াবাজির মতো খেলা হয় না, সে খেলা গোড়াতে না জমলে লোকে শেষ অবধি বসে থাকবে না।
৫৮) প্রজাপতির পা কীসে জড়িয়ে যায়?
উঃ করমচা ডালের মধ্যে ঝোলানো বড়ো মাকড়সার মোটা জালে প্রজাপতির পা জড়িয়ে যায়।
৫৯) সং জানোয়ারদের কী খাইয়ে দিয়েছিল?
উঃ সং জানোয়ারদের ভিটামিনের বদলে ভুল করে কড়া জোলাপ খাইয়ে দিয়েছিল।
৬০) মাকু কোন বাজনা বাজাতে পারে?
উঃ মাকু কলের মানুষ হলেও ক্ল্যারিনেট বাজাতে পারে।
৬১) মাকু কাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল?
উঃ মাকু পরিসের রানিকে বিয়ে করতে চেয়েছিল।
৬২) কে মাকুকে কাঁদার কল দেবে বলল?
উঃ সোনা মাকুকে কাঁদার কল সেলে বলল।
৬৩) কী খাওয়ার জন্য ঘড়িওয়ালা কেঁদে উঠেছিল?
উঃ মায়ের হাতের মোচার ঘন্ট খাওয়ার জন্য পড়িওয়ালা কেঁদে উঠছিল।
৬৪) কত লোক আগাম টিকিট কেটে রেখেছে?
উঃ তিন গাঁয়ের লোক খেলা দেখার জন্য আগাম টিকিট কেটে রেখেছে।
৬৫) সোনা বুক ফুলিয়ে কী কী জানার কথা বলেছিল?
উঃ সোনা বুক ফুলিয়ে বলেছিল সে যোগ-বিয়োগ, ছোটো নদী, দিনরাত এইসব আনে।
৬৬) পেয়াদা আসতে পারবে না কেন?
উঃ পেয়াদা এখন বাঘের গর্ভের ফাঁদে পড়ে চেঁচাচ্ছে, তাই সে আসতে পারবে না।
৬৭) বাঘের ফাঁদের গত থেকে কীসের আওয়াজ আসছিল?
উঃ বাঘের যাঁদের গর্ত থেকে চেঁচামেচির আওয়াজ আসছিল।
৬৮) দুটো করমচা গাছের মাঝখানে কী ছিল?
উঃ দুটো করমচা গাছের মাঝখানে মাকড়সার জাল ছিল।
৬৯) কতক্ষণ বাদে জানোয়ারদের খেলা দেখাবার কথা ?
উঃ পাঁচ ঘণ্টা বাদে জানোয়ারদের খেলা দেখানোর কথা।
৭০) সবাই মাকুকে খুঁজতে গেলে, হোটেলওয়ালা কী খোঁজে?
উঃ সবাই মাকুকে খুঁজতে গেলে হোটেলওয়ালা টিকিটের আধখানা খুঁজতে থাকে।
৭১) সোনা-টিয়ার দেখা প্রজাপতিটি কেমন ছিল?
উঃ সোনা-টিয়ার নাকের সামনে দিয়ে প্রকান্ড বড়ো একটি প্রজাপতি উড়ে যায়। প্রজাপতিটি আকারে সোনার/দুটো হাতের তেলো পাশাপাশি জুড়লে যত বড়ো হয় তার চেয়েও বড়ো। তার গায়ে নীল, সবুজ, সাদা-কালো বর্ডার দেওয়া রঙের বাহার। আর লাল সুতো আঁকা রামধনু রঙের চোখ বসানো।
৭২) প্রজাপতির পিছনে সোনা-টিয়ার দৌড়োনোর ঘটনাটি বলো।
উঃ সোনা-টিয়া একটা প্রজাপতি দেখতে পায়। সেটি এত বড়ো যে সোনার দুটো হাতের তেলো পাশাপাশি ছুড়েও অত বড়ো হবে না। তার গায়ে নানা রং। প্রজাপতি একবার গাছের গোড়ায় ভুইটাপা ফুলে বসে মধু খায় আবার উড়ে পালায়। আবার উঁচুতে বসে নীচে ওড়ে, রোদে বসে ডানা কাঁপায় আর তাদের সাড়া পেলেই উড়ে যায়। তারপর একসময় মাকড়সার জালে পা ঝড়িয়ে যায়। সোনা জাল ছিঁড়ে দিয়ে প্রজাপতিকে উড়িয়ে দেয়।
৭৩) আম্মা প্রজাপতিদের সম্বন্ধে কী বলেছেন?
উঃ আম্মা বলেছেন প্রজাপতিদের ডানার রঙের গুঁড়ো হাতে লেগে গেলে প্রজাপতিরা আর উড়তে পারে না, মাটিতে পড়ে যায়। তারপর কাকেরা ওদের ঠোকরায়। মাকড়সারা চুষে খেয়ে ফেলে। এতে প্রজাপতিরা মরে যায়।
৭৪) হোটেলের মালিক জাদুকরকে নষ্টের গোড়া বলেছিল কেন?
উঃ জাদুকরের দেখানো পরির রানির খেলা দেখেই মাকু পরিদের রানিকে বিয়ে করতে চায়। তখন সবাই তাকে বলে যে সে কলের পুতুল হাসতে কাঁদতে পারে না, তার আবার বিয়ে হবে কীভাবে? তখন মাকু ঘড়িওয়ালার কাছে কাঁদার কল চায়। এদিকে ঘড়িওয়ালার বিদ্যে ফুরিয়ে যাওয়ায় সে পালায়। তাই মাকু তাকে খুঁজতে গেছে। তাই মাকুর পালানোর জন্য জাদুকরই দায়ী।
৭৫) মাকুর পালানোর কারণ জেনে জাদুকর কী বলেছিল?
উঃ জাদুকর মাকুর পালানোর এই কারণ শুনে বললো যে এই সামান্য কারণে সে পালালো কেন? আগে জানলে মাকুর সঙ্গে রোজ পরিদের রানির বিয়ে দেওয়া হতো। কলের মানুষের সঙ্গে পরির রানির বিয়ে দেখতে রোজ প্রচুর লোক আসত, প্রচুর টাকা হতো। এর শুধু ঘড়িওয়ালা নয়, সার্কাস পার্টিরও ধার শোধ হয়ে যেতো।